শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০১০

দোসর: ৪৭, ৫২, ৭১ এবং আজ

আমি, আমিই সেই ১৯৪৭ এর কারন
১২০০ কি.মি দূরের দু’টি ভূ-খন্ডকে করেছিলাম এক রাষ্ট্র
জন্ম দিয়েছিলাম নতুন শোষকের।
নতুন জন্ম ছিল শুধুই শোষণের পায়তারা।

এরপর ১৯৫২, তার ও কারন আমি,
বাংলা ভাষাকে বেচে দিতে চেয়েছিলাম শোষোকর কাছে।
বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলে তোমরা ক’জন।
বাধা সরাতে রক্ত ঝড়িয়েছি তোমাদের বুক থেকে
ভুল ছিল, সেই রক্তই তোমাদের পথ দেখিয়েছে।
২১-শের রক্তে গড়া পথ, অধিকার আর বিদ্রোহ
রক্তাক্ত সংগ্রাম, তোমাদের মুক্তিযুদ্ধ
আমার ধ্বংসের পরোয়ানা নিয়ে ১৯৭১।
পরাজয় নিশ্চিত দেথে আমি বেপরোয়া
ধ্বংসের আগে শেষ ছোবল, মস্তিস্ক শূণ্য বাংলাদেশ।
আমি সফল। পরাজয় আর ধ্বংস স্তূপে
বেচেছিলাম কৃমিডিম্বের মত, সময়ের আশায়।

আজ স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর
৫২-তে করা ভুল. ২১-শের চেতনায় গড়া সংস্কৃতি
রক্তাক্ত ৭১-এ পাওয়া এই সংস্কৃতি
বাঙালি সংস্কৃতি, যা নিয়ে তোমরা র্গব কর,
সেই সংস্কৃতিকে ধ্বংসের পায়তারা নিয়ে মাথা তুলেছি
তোমাদের সন্তানেরা যেন মাথা তুলে দাড়াতে না পারে।

হে ৫২ আর ৭১ এর বিদ্রোহীর সন্তানেরা
তোমারা আমাকে চেন, আমার অভিসন্ধি জান
যদি পার আটকাও আমাকে, রক্ত ঢাল-
রক্তের বন্যা বইয়ে দাও, জন্ম হোক রতুন রক্তাক্ত ইতিহাস।

বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০১০

একুশের অনুভূতি

আজ ছিল আমাদের মহান একুশে ফেব্রুয়ারী

কাক ডাকা ভোরে, খালি পায়ে, শক্ত রাস্তায়

হৃদয়ে শ্রদ্ধা নিয়ে গেলাম শহীদ মিনারে

ভাষা শহীদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাব বলে।

গিয়ে যা দেখলাম সেটা শ্রদ্ধা নয়, অপমান

এক জনে ফুল দিচ্ছে আর দশ জনে লুটে নিচ্ছে

জুতো নিয়ে উঠছে, আনন্দ করছে, যেন উৎসব

এমন শোক দিবসের কথা শুনিনি কোন কালে।

এরকম কথাই কি ছিল শহীদরে প্রতি,

ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে এটাই কি ছিল প্রাপ্প?

হৃদয়ে শ্রদ্ধা না থাকলে কেন অভিনয় কর

ফুলের বদলে ছুড়ে দাও অপমানের বাঁশ।

একটা দিন বাংলা বাংলা বলে চিৎকার করো না

বন্ধ করে দাও শহীদ মিনারে ফুল দেয়া

বন্ধ করে দাও একুশের প্রভাত ফেরী

বদলে ফেল এই বাংলার ইতিহাস।

তবে... যে দিন থেকে ফুল দেয়া বন্ধ করবে

যে দিন থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা করবে না

সেই দিন থেকে, সেই ক্ষন থেকেই

বাংলায় না,কথা বলো অন্য ভাষায়।

আমার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলা

যারা এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে না পারে

বাংলা বলার কোন অধিকার তাদের নেই

তাদের কন্ঠ বাংলা বলার যোগ্য নয়।


২১.০২.০৫